Apon Aloy Obiram

১৫৫ কেজি ওজন ঝরিয়ে মালদ্বীপে ‘অচেনা’ আদনান সামি

1

হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রেন্ডে আদনান সামি। ফেসবুকে আদনান সামি লিখে সার্চ করলে দেখাচ্ছে ‘পপুলার নাউ’। কিন্তু কেন? উত্তর খুঁজতে বেশি দূর যেতে হবে না।

 

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ভারতীয় এই সংগীতশিল্পীর ছবির দিকে তাকালেই উত্তর পেয়ে যাবেন। ২২০ কেজি থেকে ৬৫ কেজিতে নেমে আসা আদনান সামিকে দেখে অনেক ভক্ত এখন চিনতেই পারছেন না। মন্তব্যের উঠানে একজন লিখেছেন, ‘আরে, আপনি কি জন আব্রাহাম হয়ে গেলেন!

 

 

স্ত্রী–সন্তান নিয়ে এখন মালদ্বীপে ছুটি কাটাচ্ছেন সামি। সেখান থেকেই শেয়ার করেছেন কয়েকটি ছবি। আর সেসব ছবি দেখে তো ভক্তদের চক্ষু চড়কগাছ! মেয়ের সঙ্গে পুলে নেমে একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘সময় নষ্ট করার একদম সময় নেই।

 

তাই চলো, আমরা সবাই আনন্দে মেতে থাকি।’ লোকে ভুল বুঝতে পারে, এই শঙ্কায় এটা জানাতে ভুল করেননি যে তাঁর হাতের গ্লাসের তরলটি আদতে আঙুরের জুস। এর সঙ্গে অ্যালকোহলের কোনো সম্পর্ক নেই।

 

স্ত্রী রয়া সামি খান আর কন্যাকে নিয়ে লাঞ্চে বসেছেন। মালদ্বীপের কুডা ভিলিঙ্গিলি রিসোর্ট থেকে সেই ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমরা বিখ্যাত “মার–উমি” রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাবার খেতে বসেছি। এখানকার পেরুভিয়ান আর আর জাপানিজ কুইজিন অবিশ্বাস্য।’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন বেশ কিছু খাবারের ছবি। বোঝা গেল, ফিট হয়ে ফিরলেও মুখরোচক খাবারের প্রতি টান কমেনি।

 

 

আকাশ মেঘলা, পুলে স্নান করছেন আদনান সামি, এমন একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমি গান গাচ্ছি। আর সাঁতার কাটছি। ওদিকে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। কী দারুণ, না?

 

 

আদনান সামির অস্বাভাবিক স্থূল থেকে ‘ফিট’ হয়ে যাওয়া কোনো জাদুমন্ত্রবলে হয়নি। ২০০৫ সালের দিকে অতিরিক্ত ওজনের কারণে নিয়মিত অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। ২০০৬ সালের শুরুতে ডাক্তার সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ওজন ঝরাতে না পারলে ছয় মাসের বেশি বাঁচবেন না।

 

 

বেঁচে থাকার তাগিদেই তখন ওজন ঝরানো শুরু করেন সামি। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে শুরু করলেন সেই কাজ। সেখানকার পুষ্টিবিদ ও ডায়েটিশিয়ান—সবাই তাঁকে ‘ইমোশনাল ইটার’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কেননা, অবসাদে পড়েই বেশি খেতেন। হায়দরাবাদি বিরিয়ানির ভেতর সমস্ত রিলিফ খুঁজে পেতেন। তিন বেলা বিরিয়ানি খেতেন আদনান সামি।

 

 

সামির অত্যধিক ওজনের কারণেই নাকি সাবেক স্ত্রীরা তাঁকে ছেড়ে গিয়েছিলেন। ফলে ওজন বৃদ্ধির এক দুষ্টচক্রের ভেতর পড়ে গিয়েছিলেন আদনান সামি।

 

ওজন ঝরানোর এই যাত্রার বিষয়ে একাধিকবার গণমাধ্যমকে সামি বলেছেন, এটি ৮০ ভাগ মানসিক। আর মাত্র ২০ ভাগ শারীরিক। মনস্থির করাই ডায়েটে সবচেয়ে বড় আর গুরুত্বপূর্ণ। ডায়েটের সময় নিয়মিত কাউন্সেলিংও করিয়েছেন। অসংখ্য ভারতীয় ও পাকিস্তানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, একাধিক প্লাস্টিক সার্জারিও করিয়েছেন তিনি।

 

আদনান সামির মালদ্বীপ ভ্রমণের ছবির নিচে ভক্তরা লিখেছেন, ‘এ হতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি না! কীভাবে সম্ভব।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘ওয়াও, মনে হচ্ছে বাটালি দিয়ে কেটে “জ” লাইন (সূচালো চোয়াল) বানানো হয়েছে। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না। আপনি অনুপ্রেরণা। সালাম।

 

 

ওজন কমিয়ে আদনান সামি যে এখন অনেক সুদর্শন হয়েছেন—তা-ই শুধু নয়, বয়সও এক লাফে কমে গেছে কয়েক ধাপ। শরীরের পাশাপাশি মনও হয়েছে ফুরফুরে। বেশি ওজনের জন্য আগে হীনম্মন্যতায় ভুগতেন। ওজন কমিয়ে তাঁর মানসিক সমস্যাও গায়েব! দিব্যি স্ত্রী–সন্তান নিয়ে সুখে জীবন পার করছেন সামি।

 

আরও পড়ুনঃ

দশম শ্রেণির ছাত্রের বিরুদ্ধে শিক্ষককে স্টাম্প দিয়ে…

ঢাবির ‌খ ইউনিটের ফল প্রকাশ, প্রায় ৯০ শতাংশই ফেল

 

ভিক্টোরি টেলিভিশন/ভিটিভি

You might also like
1 Comment
  1. bestbdit says

    ,mn mnb

Leave A Reply

Your email address will not be published.