Apon Aloy Obiram

প্রযুক্তিপণ্যের দামে দিশেহারা ক্রেতা, ধুঁকছেন ব্যবসায়ীরা

0

 

ব্যবসায়ীদের দাবি, যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অস্থিরতা আর ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে গত তিন মাসে প্রযুক্তিপণ্যের দাম বেড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ। একই সঙ্গে সরকারের কৃচ্ছ্রসাধন নীতির কারণে সব পণ্যের বিক্রি কমেছে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। লোকসান টেনে কুলাতে না পেরে অনেকেই ছেড়েছেন ব্যবসা। বাজার কবে স্থির হবে তার ধারণাও পাচ্ছেন না তারা।

 

তিন মাস আগের এবং বর্তমান দাম তুলনা করে দেখা গেছে, প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২০২০ সাল থেকে প্রযুক্তিপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে। তবে চলতি বছর বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও বাড়তি ভ্যাটের কারণে দাম বাড়তে বাড়তে আকাশচুম্বি হয়েছে। অন্যদিকে জুন-জুলাইয়ে সরকারি প্রকল্প, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কিছু কেনাকাটা হয়। এবার তা হয়নি। একে তো বেশি দাম, তার ওপর সরকারের কৃচ্ছ্রসাধন নীতি। ক্রেতারাও একেবারে জরুরি না হলে প্রযুক্তিপণ্য কিনছেন না। সব মিলিয়ে দিশেহারা ছোট বিক্রেতারা

 

চলতি বছরের বাজেটে আমদানি করা ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার ও প্রিন্টারের টোনারের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। যদিও ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং এলসির কড়াকড়িতে প্রযুক্তিপণ্যের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এলসিতে প্রভাব পড়ছে। এছাড়া আগে বাকিতে এলসি খোলা গেলেও সরকারের বর্তমান নীতির কারণে তা আর করা যাচ্ছে না। কম্পিউটার বিল্ট করতে খরচ ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়ে গেছে। ল্যাপটপের দাম প্রায় ২০ হাজার টাকা বাড়তি। পুরো বাজারটাই অস্থিতিশীল।

 

বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাইবার কমিউনিকেশনের মালিক নাজমুল আলম ভূইয়া বলেন, ডলারের একটা প্রভাব আছে। সরকার এলসি মার্জিন শতভাগ করে দিয়েছে। এখন শতভাগ টাকা জমা দিয়ে পণ্য আনতে হচ্ছে। বিদেশি কোম্পানিগুলো এলসি রিসিভ করে পণ্য পাঠাতে দু-তিন মাস দেরি করে। এ সময় পণ্যের দাম কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। আবার ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় সেটা আসতে আসতে আরও দাম বাড়ছে। তার ওপর ভ্যাটের বোঝা আছে। সব মিলে পণ্যের দাম ৫০ শতাংশের ওপর বেড়েছে। দাম এখন ইতিহাসের সর্বোচ্চ বলা যায়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.