Apon Aloy Obiram

পাঁচ সেকেন্ডেই আসবে রেমিট্যান্স!

0

মাত্র ৫ সেকেন্ডে দুনিয়ার যে কোনো প্রান্ত থেকে আসবে রেমিট্যান্স, কমবে হুন্ডি। এমনকি ব্যাংক খোলা থাকুক আর না-ই থাকুক, সেই অর্থ তাৎক্ষণিকভাবেই পাবেন প্রাপক।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ব্লকচেইন টেকনোলজির মাধ্যমে এই সুবিধা দিতে পারে, ব্যাংকাররা বলছেন।
যদিও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের রেট না বাড়ালে বন্ধ হবে না হুন্ডি। নজর রাখতে হবে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোতেও।
জানা যায়, অর্থনীতির পুরোটাই বন্দি মাত্র দুটি শব্দে, লাভ আর ক্ষতি। তাই যেখানেই অর্থের যোগ, সেখানেই লাভের খোঁজ করে মানুষ। ব্যতিক্রম নয় ১ কোটির বেশি প্রবাসী বাংলাদেশিও। কোথায় একটু বেশি টাকা মিলবে সেটিই বিবেচ্য হয়ে দাঁড়ায় অন্তত বহু কষ্টে উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠানোর সময়।

 

মূলত, যে দুই কারণে হুন্ডিতে ঝোঁকেন প্রবাসীরা। তার একটি হলো দেশে টাকা পাঠিয়ে থাকতে হয় অপেক্ষায়, সেই টাকা কখন পাবেন স্বজনরা। ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে এবার যেখান থেকে এক পলকেই মুক্তি পেতে পারেন তারা। এই প্রযুক্তির সহায়তায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কোনো ঝামেলা ছাড়াই রেমিট্যান্সের অর্থ গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে দিতে পারে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘রিপেল’। পরীক্ষামূলকভাবে একটি বেসরকারি ব্যাংক ব্যবহারও করছে এই প্রযুক্তি। কাগজপত্র নিয়ে কাউকে ব্যাংকেও আসতে হচ্ছে না আবার এতে লাগছে না বাড়তি সময়, কাগজপত্র নিয়ে কাউকে ব্যাংকেও আসতে হচ্ছে না।

 

ব্যাংক এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ব্লকচেইনের মাধ্যমে টাকা জমার তথ্য মাত্র ৫ সেকেন্ডের মধ্যে চলে আসছে। এখানে সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং ব্যাংকিং কমিউনিটি ব্লকচেইনটাকে যাতে আমরা ইনভাইট করতে পারি সে ব্যাপারে একটা উদ্যোগ নিতে পারে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এতে হয়তো একটা পথ বন্ধ হবে। কিন্তু বৈধ আর অবৈধ চ্যানেলে ডলারের বিনিময় হারে বিশাল পার্থক্য বহাল রেখে বন্ধ করা যাবে না হুন্ডি।

অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, কেউই নির্বোধ নয় যে সরকারি চ্যানেলে টাকা পাঠিয়ে ডলারে ৯৫ টাকা নেবে। যেখানে এর বাইরে থেকে নিলে ১০৯ থেকে ১১০ টাকা পাচ্ছে। তাই দুটো রেটকে কাছাকাছি নিয়ে আসতে হবে। এটা না করতে পারলে এই অবস্থার উত্তরণ ঘটানো সম্ভব নয়।

সরকারি হিসেবে এই মুহূর্তে ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসী প্রতি বছর গড়ে আড়াই হাজার কোটি ডলার দেশে পাঠান। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনো বৈধতার অপেক্ষায় থাকা প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে দেশে টাকা পাঠাতে নির্ভর করতে হয় হুন্ডি কারবারিদের ওপর।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.